পিআর পদ্ধতি নির্ধারণের জন্য গণভোটের দাবি তোলার আগে নির্বাচন দিয়ে জনমত যাচাই করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এছাড়াও গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে জনগণের আকাঙ্ক্ষা বুঝতে না পারলে রাজনৈতিক দলগুলোর ভবিষ্যৎ নেই বলেও মন্তব্য করেছেন তারা। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীতে ভিন্ন ভিন্ন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন দলটির নেতারা।
একইসঙ্গে রাজনীতি ও অর্থনীতিতে সবাই যেন অংশগ্রহণ করতে পারে সেজন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির প্রতিও জোর দেন তারা। সকালে রাজধানীর গুলশানে ওয়ার্ল্ড ভিশনের চতুর্থ শিশু এবং যুব সমাবেশে অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, রাজনীতি ও অর্থনীতিতে সবাই যেন অংশগ্রহণ করতে পারে সেজন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। সেইসঙ্গে গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের মানুষের মনে যে প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো তা বুঝতে না পরলে তাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, পিআর গণভোটের দাবি তোলার আগে নির্বাচন দিয়ে জনমত যাচাই করতে হবে। এসময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য বীরবিক্রম মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে আগামীর বাংলাদেশ কীভাবে চলবে।
এছাড়াও নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রকারীরা দেশের অগ্রগতি চায় না বলেও মত বিএনপি নেতাদের।
মেজর হাফিজ বলেন, ৭২ সংবিধান আওয়ামী লীগের নয়, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতাই চায়নি। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা চায়নি। কারণ তারা ভোটের রাজনীতি করেছে। অখণ্ড পাকিস্তানই চেয়েছে। নয় মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে দেশের মানুষ। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা না চেয়েও স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। যুদ্ধ পরবর্তী ভারতের আনুকূল্য নিয়ে ক্ষমতায় বসেছে আওয়ামী লীগ। ভারত কখনও বাংলাদেশের ভালো চায়নি, চাইবেও না। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই সনদকে সংবিধানের উপরে স্থান দিতে চায় তা অসম্ভব। সংবিধান সংশোধনের দায়িত্ব অনির্বাচিতদের নয়, সংবিধান সংশোধন করবে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদ দিয়ে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও সংবিধানের অধীনের কার্যক্রম করছে?
বিএনপি নেতা হাফিজ বলেন, অদ্ভুত রাজনৈতিক দল স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, ৪৭ এ পাকিস্তানেরও বিরোধিতা করেছিল এখন জনগণের মালিক মোক্তার হয়ে বসতে চায়। নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধে রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ অংশ নেয়নি দোষের কিছু নাই তারা ভোটের রাজনীতি করেছে। তিনি বলেন, পিআর সিস্টেম চায় জামায়াত, এনসিপি আর চরমোনাই। এই সিদ্ধান্ত জনগণের হাতে ছেড়ে দিতে হবে, বাংলাদেশের জনগণ নির্ধারণ করবে তারা কোন ব্যবস্থা চায়। জনগণই স্থির করবে কীভাবে বাংলাদেশ চলবে।