করোনার সময় নির্মাণ হয়েছিল স্বল্পদৈঘ্য সিনেমাটি। করোনার প্রায় তিন বছর পার হলেও এত দিন আলোর মুখ দেখেনি। অবশেষে আজ মুক্তি দেওয়া হলো সিনেমাটি। এত দিন অপেক্ষার কারণ কী?
নির্মাতার অবশ্য সাফ জবাব, “এত দিন অপেক্ষায় ছিলাম।
বলতে পারেন একটা সুন্দর সময়ের অপেক্ষায়। আমার মনে হয় ছাত্র আন্দোলনের ফলে একজন স্বৈরাচারী সরকারের পতনের মাধ্যমে সেই সময়টা পেয়েছি। এ কারণেই মুক্তি দিলাম ‘মিডনাইট মিটিং’ সিনেমাটি।’’
জানা গেছে, উন্নয়নের নামে লুটপাট, শেয়ারবাজার ধস, দেশটাকে ভাগ করে নিয়ে অপশাসনের ফলে জনসাধারণের ভোগান্তি দেখে এক যুবকের বিপ্লবী হয়ে ওঠার গল্প নিয়ে নির্মিত সিনেমাটি।
এতে অভিনয় করেছেন শতাব্দী ওয়াদুদ, খায়রুল বাশার, রকি খান, পাভেল জামানসহ আরো অনেকে। সিনেমার গল্প ও চিত্রনাট্য লেখার পাশাপাশি পরিচালনা করেছেন তরুণ নির্মাতা মিকসেতু মিঠু।
জানা গেছে, তরুণ লেখক ও নির্মাতা মিঠু একরকম স্বপ্ন নিয়ে করোনাকালে বানিয়েছিলেন পলিটিক্যাল থ্রিলারধর্মী এই সিনেমা। কিন্তু প্রতিবাদী সিনেমাটি কেউ মুক্তি দেওয়ার সাহস দেখায়নি।
বিভিন্ন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ও টিভি চ্যানেল ঘুরে হতাশ হয়ে ফিরেছে।
অবশেষে শনিবার সন্ধ্যায় ‘ব্যাকবেঞ্চার ফিকশন’ নামের ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি দেওয়া হয়।
নিজের প্রথম সিনেমা নিয়ে মিকসেতু মিঠু বলেন, ‘সমাজে যখন অন্যায়ই ন্যায় বলে প্রতিষ্ঠা পেয়ে যায়, সবাই যখন অপশাসনকে হজম করে বসে থাকে তখন কেউ কেউ প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলন ও স্বৈরাচার পতন।’
মিঠু আরো বলেন, “‘মিডনাইট মিটি’ সিনেমায় আমি এমন এক যুবকের গল্প বলেছি যে, সবার মতো না।
সে দেশের কথা ভাবে। মানুষের কথা ভাবে। যাদের রাতের পরিকল্পনায় দেশ চলে তাদের ভিত্তিমূলে আঘাত হানে।”
শাহিল রনির চিত্রগ্রহণে মিডনাইট মিটিং প্রযোজনা করেছেন কামরুজ্জামান মুরাদ, সহপ্রযোজনায় ছিলেন ইশতিয়াক চিশতি।