News Link: https://www.dailylalsobujbd.com/news/36S
রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাত আনুমানিক ৮টার দিকে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে পরিস্থিতি সহিংস রূপ নেয় এবং উভয় পক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন।
সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে প্রথমে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে একপর্যায়ে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হলে পুলিশের অনুরোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। সংঘর্ষ চলাকালে কিছু দুর্বৃত্ত সংগঠিতভাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। এতে সেনাবাহিনীর ৫ সদস্য আহত হন বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
ঘটনার শুরুতেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয় এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে মতবিরোধ নিরসনের অনুরোধ করা হয়। তবে বারংবার আহ্বান সত্ত্বেও কিছু উসকানিদাতা উল্টো মব ভায়োলেন্সে জড়িয়ে পড়ে। তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে, মশাল মিছিল বের করে এবং কিছু স্থাপনায় আগুন লাগানোর চেষ্টাও করে।
এ সময় বিজয়নগর, নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয় এবং জনজীবনে চরম ভোগান্তি সৃষ্টি হয়।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একাধিকবার শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা করলেও সহিংস কর্মীরা তা উপেক্ষা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শেষপর্যন্ত বল প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে তারা সর্বদা প্রস্তুত এবং সরকারের 'মব ভায়োলেন্সে জিরো টলারেন্স' নীতির প্রতি পূর্ণ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানিয়েছে, যে কোনো সহিংসতার বিরুদ্ধে তারা কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সদা প্রস্তুত।