News Link: https://www.dailylalsobujbd.com/news/37e
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী (বীরউত্তম) মন্তব্য করেছেন যে, 'হাসিনা হটাও' আন্দোলনে সেনাবাহিনী যে ভূমিকা রেখেছে, তা দেশের মানুষ হাজার বছর মনে রাখবে। শনিবার (৩০ আগস্ট) টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে 'কাদেরিয়া বাহিনী' আয়োজিত এক মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সেনাপ্রধানকে উদ্দেশ্য করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, "ওয়াকার সাহেবকে আমি ভালোভাবে চিনি না। তবে আগে তার গ্রামে অনেক সময় কাটিয়েছি। সেনাবাহিনী আমাদের গর্বের, অন্য দেশে সেনাবাহিনী পরে হয়, কিন্তু আমাদের দেশে সেনাবাহিনী আগে হয়েছে। হাসিনা হটাও আন্দোলনে সেনাবাহিনী যে ভূমিকা রেখেছে তা জনগণ হাজার বছর মনে রাখবে। কেউ কেউ বলছে সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্ট পুড়িয়ে দেবে, তাদের দেখে নিন আপনি।"
তিনি আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট সেনাপ্রধান দেশের হেফাজত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু এখন সেই হেফাজত কোথায়? ৭১ মঞ্চের অনুষ্ঠানে মব করা অপরাধী, না যারা ভাঙতে গেছে তারা অপরাধী? কাদের সিদ্দিকী প্রশ্ন তোলেন, কেন শুধুমাত্র কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক ২৬ বছর যাবৎ জেলে আছেন? তিনি বলেন, কোটা আন্দোলন নয়, বরং আল্লাহর গজবের কারণেই শেখ হাসিনার বিদায় হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ করে যদি পাকিস্তানের কাছে অত্যাচারিত হতে হয়, তাও শান্তি ছিল। কিন্তু এখন বাংলাদেশে পাকিস্তানি মনোভাব নিয়ে পোলাপান জন্ম নিচ্ছে। তিনি ১৯৭১ সালের মতো ২০২৩ সালেও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
সমাবেশে উপস্থিত বক্তারা কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ঐক্য গড়ে তোলার ওপর জোর দেন। তাঁরা বলেন, ৭১ বাদ দিয়ে বর্তমান হবে না। বক্তারা সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানান এবং তাঁর মুক্তি দাবি করেন।
সমাবেশ শেষে ভূঞাপুর উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতির ছেলে উদয়ের ওপর উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা হামলা করে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।