News Link: https://www.dailylalsobujbd.com/news/1Xw
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডে (সিইউএফএল)-এর ইউরিয়া উৎপাদন যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়ার ২৩ দিন পর আবার উৎপাদন শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কারখানায় ইউরিয়া উৎপাদন পুনরায় শুরু হয় বলে জানিয়েছেন সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মিজানুর রহমান। এর আগে, যান্ত্রিক ক্রটির কারণে চলতি মাসের ৩ জানুয়ারি বন্ধ হয়ে যায় ইউরিয়া উৎপাদন। জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মাত্র পাঁচদিন চালু ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত এ সার কারখানা। গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
টানা ১০ মাস পর গত ১৩ অক্টোবর পুনরায় কারখানা চালু হয়। এরপর চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি আবারও যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এভাবেই গত কয়েক বছর ধরে কখনো যান্ত্রিক ক্রটি, কখনো গ্যাস সংকটে বন্ধ থাকে কারখানার উৎপাদন। সিইউএফএল সূত্র আরো জানায়, পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনের জন্য সম্পূর্ণ গ্যাসনির্ভর এ কারখানায় দৈনিক ৪৮ থেকে ৫২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন। গ্যাসসংকট এবং যান্ত্রিক নানা সমস্যা থাকায় গত অর্থবছর কারখানাটিতে আড়াই লাখ মেট্রিক টনের মতো ইউরিয়া সার উৎপাদিত হয়েছে। কৃষিনির্ভর বাংলাদেশে ইউরিয়া সারের চাহিদা বছরে প্রায় ২৬ লাখ মেট্রিক টন। তার মধ্যে সিইউএফএলসহ বিসিআইসির অন্যান্য কারখানা প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদন করে।
অবশিষ্ট ১৬ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া উচ্চমূল্যে আমদানি করতে হয়। এদিকে কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা কমে আসা নিয়ে সিইউএফএলের কর্মকর্তারা জানান, চালু হওয়ার সময় ইউরিয়া উৎপাদনক্ষমতা ছিল দৈনিক ১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন এবং বার্ষিক ৫ লাখ ৬১ হাজার মেট্রিক টন। তবে বর্তমানে দৈনিক ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদন করতে সক্ষম হচ্ছে কারখানাটি। পাশাপাশি দৈনিক ৮০০ মেট্রিক টন এবং বার্ষিক ৩ লাখ ১০ মেট্রিক টন অ্যামোনিয়া উৎপাদন করতে পারে সিইউএফএল। সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মিজানুর রহমান বলেন, 'শনিবার রাত আড়াইটা থেকে ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হয়েছে। কারখানার রিয়েক্টর, প্রাইমারি রিফর্মার পরিবর্তন করতে হবে। আর আরসিফর্ম ২টার মধ্যে একটা চালু আছে, আরেকটা বন্ধ রয়েছে।'