রাজধানীর কারওয়ান বাজার সংলগ্ন পান্থকুঞ্জ পার্কের ভেতর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্প নির্মাণের জন্য পার্কের প্রায় তিনশ গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এর প্রতিবাদে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশের পরিবেশ সচেতন নাগরিক ও বিভিন্ন সংগঠনের যৌথ প্লাটফর্ম ‘বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলন’।
এদিন দুপুরে পান্থকুঞ্জ পার্কে গিয়ে দেখা যায়, সব গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। পার্কের চারদিক সবুজ রঙের টিন দিয়ে ঘিরে গত এক সপ্তাহ ধরে গাছগুলো কাটা হয়। ভেতরে চলছে র্যাম্পের নির্মাণকাজ। এক সময় স্থানটি কতটা সবুজ ছিল কিংবা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মানুষের পদচারণায় কতটা মুখর থাকতো- তা আর এখন দেখে বোঝার উপায় নেই।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, পান্থকুঞ্জ পার্কটি ঢাকার সবচেয়ে পুরাতন পার্ক। অথচ বিগত সরকারের সময় হাতিরঝিল ও পান্থকুঞ্জ পার্কের পরিবেশ ধ্বংস করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ করছে। ইতিমধ্যে হাতিরঝিলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্প স্থাপনের জন্য ৪১টি পিলার বসানো হয়েছে। এতে হাতিরঝিলের পরিবেশ ধ্বংস হয়ে গেছে। অথচ এই হাতিরঝিল থেকে বিজিএমইএ ভবন সরিয়ে নেওয়ার জন্য তারাই আন্দোলন করে। ভবন সরিয়ে নেওয়ার পর বিগত সরকার সেখানে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্প স্থাপন করেছে।
তারা আরও বলেন, বিগত সরকারের অপরিকল্পিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কেন চালাবে? মুষ্টিমেয় গাড়ি মালিকদের চলাচলের জন্য পান্থকুঞ্জ পার্কের ৩শ গাছ তারা কেটে ফেলেছে। এই পার্কে যেভাবে অবকাঠামো তৈরি হচ্ছে তাতে পার্কটি হারিয়ে যাবে। তাছাড়া কারওয়ান বাজারের সামনে যদি এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্প হয় তাহলে এই এলাকায় যানজট আগের চেয়ে আরও বাড়বে।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আমিরুল রাজিব, সহ-সমন্বয়ক নয়ন সরকার, ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি) সভাপতি অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খানসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি এবং স্থানীয় এলাকাবাসী।