মাদারীপুর শিবচরে ফজিলাতুন্নেছা নামের ৭০ঊর্ধ্ব বয়সের এক নারীর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে নিখোঁজের পর থেকেই নিজের মাকে হারিয়ে দিশেহারা নিখোঁজ ওই বৃদ্ধার সন্তানেরা। মায়ের সন্ধানে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পাশাপাশি সাংবাদিক সম্মেলনও করেছেন। তবে এখনো কোনো সন্ধান মিলেনি নিখোঁজ ব্যক্তির। নিখোঁজ ফজিলাতুন্নেছা উপজেলার পাঁচ্চর ইউনিয়নের হোগলার মাঠ গ্রামের মৃত্যু রহমান আকনের স্ত্রী ।
নিখোঁজের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার ১২ই জানুয়ারি সকাল সাড়ে দশটার দিকে বাড়ির পাশের ছোট কুতুবপুর বাজারে বিকাশ দোকানে আসেন ফজিলাতুন্নেছা ছেলের কাছে টাকা পাঠানোর জন্য । এরপর আর তিনি বাড়ি ফেরেন নি। তবে তার ব্যবহারিত মোবাইলটি ২৪ ঘন্টার ও বেশি সময় সচল ছিল, এরপর সেটিকেও বন্ধ দেখায়। নিখোঁজের পরে কোথাও তাকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে একদিন পরে ১৩ ই জানুয়ারি শিবচর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তবে কোন সন্ধান না পেয়ে আজ বুধবার (১৫ই জানুয়ারি ) বিকেলে শিবচর প্রেসক্লাবে এসে মায়ের সন্ধান চেয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন নিখোঁজ এর সন্তানও স্বজনরা।
এ সময় নিখোঁজ ফজিলাতুন্নেছার বড় ছেলে আবু বক্কর আকন বলেন, আমার মায়ের বয়স হলেও আমার মা সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন। নিজের রান্নাবান্না নিজেই করে খেতেন। আমি শহরে থাকলেও আমাদের মা গ্রামের বাড়িতে থাকতেন আমার ছোট ভাইয়ের সাথে। বিকাশের দোকানে টাকা পাঠাতে এসে আমার মা নিখোঁজ হয় আমরা আমার মায়ের সন্ধান চাই।
নিখোঁজের মেয়ে, রেখা আক্তার কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার মা তার ছোট ছেলের মায়ায় পড়ে গ্রামের বাড়িতে থাকতো। আমার মা সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল। আমার মা একদিন আমার সাথে ফোনে কথা না বলে থাকতে পারত না। আজ কয়দিন হলো আমার মা আমাদের মাঝে নেই। সরকারের কাছে আবেদন রাখছি। সরকার যেন আমার মায়ের দ্রুত সন্ধান করে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
নিখোঁজের নিকটতম আত্মীয় শিবচর উপজেলা বিএনপি যুগ্ম আহব্বায়ক মোঃ শাহজাহান (সাজু মোল্লা), আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দ্রুত এই খোঁজ ব্যক্তির সন্ধান চাই। তার জন্য আমরা দেশবাসীর ও সাহায্য কামনা করছি। এ বিষয়ে শিবচর থানার ওসি রতন শেখ বলেন, নিখোঁজ ফজিলাতুন্নেছার মেয়ে শিবচর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে। আমরা তারই প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি এবং নিখোঁজের সন্ধানে কাজ করছি।