ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

ন্যায় প্রতিষ্ঠায় নিবেদিতপ্রাণ তরুণ আইনজীবী মিঠুন সাহা

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

মাসুম পারভেজ | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
গাইবান্ধা
শুক্রবার, ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১০.০৪ অপরাহ্ন

আপডেট : শুক্রবার, ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১০.০৪ অপরাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 228305 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 228305 জন
ন্যায় প্রতিষ্ঠায় নিবেদিতপ্রাণ তরুণ আইনজীবী মিঠুন সাহা
ছবি : সংবাদদাতা প্রেরিত।

অ্যাডভোকেট মিঠুন সাহা বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের একজন শিক্ষিত, মেধাবী ও সমাজসচেতন আইনজীবী। শৈশব থেকেই তিনি ন্যায়, সত্য ও মানবসেবার আদর্শকে ধারণ করেছেন। আইন পেশায় এসে তাঁর লক্ষ্য মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। 


তিনি শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট থানার তারলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা চিত্তরঞ্জন সাহা একজন নীতিবান ব্যক্তি এবং মাতা রেখা রানী একজন পরিশ্রমী ও শিক্ষিত নারী। এই পারিবারিক পরিবেশই তাঁকে গড়ে তুলেছে সততা ও মানবিকতার মানসে। 


১৯৯৪ সালের ১৫ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন অ্যাডভোকেট মিঠুন সাহা। গ্রামের প্রকৃতির সান্নিধ্যে তাঁর শৈশব কেটেছে। ছোটবেলা থেকেই তিনি পড়াশোনায় মনোযোগী ও অধ্যবসায়ী ছিলেন। 


স্থানীয় বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করে অল্প বয়সেই তিনি মেধার পরিচয় দেন। শিক্ষকদের ভালোবাসা ও পরিবারের সমর্থন তাঁকে আরও এগিয়ে নিয়ে যায়। 


২০১১ সালে নাগের পাড়া হাই স্কুল থেকে এসএসসি সম্পন্ন করেন তিনি। এই সময়ে তিনি পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ও সহশিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডেও অংশগ্রহণ করতেন। 


২০১৩ সালে ঢাকা সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। ঢাকায় উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে পড়াশোনা তাঁকে আধুনিক শিক্ষার জগতে নিয়ে আসে এবং ভবিষ্যৎ জীবনের দিকনির্দেশনা দেয়। 


২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হয়ে তিনি জীবনের এক নতুন অধ্যায় শুরু করেন। এটি তাঁর জীবনের জন্য গর্বের বিষয় এবং আত্মবিশ্বাসের ভিত্তি। 


তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (অনার্স) ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর শিক্ষাজীবন প্রমাণ করে, অধ্যবসায় ও লক্ষ্যভেদী মানসিকতা মানুষকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। 


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতেন। এতে তাঁর সামাজিক সচেতনতা ও দায়িত্ববোধ আরও বৃদ্ধি পায়। 


শিক্ষাজীবন শেষে তিনি আইন পেশায় প্রবেশ করেন। তাঁর কাছে আইন পেশা কেবল জীবিকা নয়; এটি মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার এক মহৎ দায়িত্ব। 


আইনজীবী হওয়ার পেছনে তাঁর মূল উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ মানুষকে সহায়তা করা। বিশেষ করে বঞ্চিত ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের অধিকার রক্ষা করা।শরীয়তপুরের গ্রাম থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে আইন পেশায়—সেবাই তাঁর জীবনের মূল লক্ষ্য 


আইন পেশার পাশাপাশি তিনি সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে কাজ করছেন। আইনের প্রয়োগ ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তিনি সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চান। 


অ্যাডভোকেট মিঠুন সাহা বিশ্বাস করেন, একজন আইনজীবীর দায়িত্ব শুধু আদালতকেন্দ্রিক নয়; বরং সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। 


তিনি চান একজন দক্ষ ও সৎ আইনজীবী হয়ে দেশের বিচারব্যবস্থাকে আরও সমৃদ্ধ করতে। একইসাথে আইন শিক্ষা, গবেষণা ও মানবাধিকার রক্ষায় ভূমিকা রাখতে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 


অ্যাডভোকেট মিঠুন সাহা আজকের তরুণ সমাজের জন্য অনুপ্রেরণা। তাঁর সততা, পরিশ্রম ও মানবিকতা আগামী দিনে তাঁকে দেশের আইন অঙ্গনে এক অনন্য দৃষ্টান্তে পরিণত করবে—এমনটাই সবার প্রত্যাশা।



নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
বাংলাদেশ | জাতীয়
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

মাসুম পারভেজ | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
গাইবান্ধা
শুক্রবার, ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১০.০৪ অপরাহ্ন
আপডেট : শুক্রবার, ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১০.০৪ অপরাহ্ন