ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

বাড়ির ছাদে মহাকাশযানের ধ্বংসাবশেষ, নাসার কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ


আপডেট : বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১.১১ পূর্বাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 1879680 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 1879680 জন
বাড়ির ছাদে মহাকাশযানের ধ্বংসাবশেষ, নাসার কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি
ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের নেপলস শহরে একটি পরিবার তাদের সম্পত্তির ক্ষতি ও মানসিক যন্ত্রণার জন্য মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে। কারণ তাদের বাড়িতে এই বছরের শুরুতে মহাকাশযানের ধ্বংসাবশেষে আঘাত করেছিল।


৭০০ গ্রাম ওজনের ধাতব বস্তুটি গত মার্চ মাসে আলেজান্দ্রো ওটেরোর বাড়ির ছাদে একটি গর্ত তৈরি করে। নাসা বলেছিল, বস্তুটি প্রায় পাঁচ হাজার ৮০০ পাউন্ড ওজনের একটি যন্ত্রের অংশ।


আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন নতুন লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ইনস্টল করার পর যন্ত্রটি ফেলে দিয়েছিল।

ওটেরো বলেছিলেন, বস্তুটিতে তার ছেলেকে আঘাতে করতে যাচ্ছিল। তার আইনি সংস্থা ক্র্যানফিল সামারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বর্ণিত ক্ষতির তালিকার মধ্যে রয়েছে বীমাবিহীন সম্পত্তির ক্ষতি, ব্যবসায় বাধা, মানসিক যন্ত্রণা ও তৃতীয় পক্ষ থেকে নেওয়া সহায়তার খরচ।



অ্যাটর্নি মাইকা নুগুয়েন ওয়ার্থির মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মহাকাশযান চলাচলের বৃদ্ধির কারণে এ ধরণের ধ্বংসাবশেষ সত্যিকারের গুরুতর সমস্যায় পরিণত হয়েছে। তিনি একটি বিবৃতিতে বলেন, ‘আমার গ্রাহক এই ঘটনাটি জীবনে যে চাপ ও প্রভাব ফেলেছে, তার জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ চাইছে।’ 


ওটেরো সিবিএস অধিভুক্ত উইংক-টিভিকে জানান, যন্ত্রাংশটি তার বাড়িতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি ‘ভয়ঙ্কর শব্দ’ তৈরি হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমি কাঁপছিলাম।



আমি একদমই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। কেনই বা এত বেশি ক্ষতি করার জন্য এত জোরে কোনো কিছু আমার বাড়িতে পড়বে।’ 

নাসা বলেছে, ‘যন্ত্রাংশটি ২০২৪ সালের ৮ মার্চ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় সম্পূর্ণরূপে পুড়ে যাবে বলে আশা করা হয়েছিল। তবে এর একটি টুকরো বেঁচে যায় এবং ফ্লোরিডার নেপলসে একটি বাড়িকে প্রভাবিত করে।’


আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন ধ্বংসাবশেষ কিভাবে পুড়ে যাওয়া থেকে বেঁচে গেল সে বিষয়ে ‘বিশদ তদন্ত করবে’ বলে নাসা জানিয়েছে।



ওটেরোর দাবির জবাব দিতে নাসার হাতে ছয় মাস সময় আছে।

মহাকাশযানের ধ্বংসাবশেষ একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা হিসেবে আবির্ভাব হয়েছে। গত বছর পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র সৈকতে পাওয়া একটি বিশাল ধাতব গম্বুজকে ভারতীয় রকেটের উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এটিকে ১৯৭৯ সালে অস্ট্রেলিয়ায় বিধ্বস্ত নাসার স্কাইল্যাব মহাকাশযানের অংশগুলোর সঙ্গে প্রদর্শন করার পরিকল্পনা রয়েছে।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ



আপডেট : বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১.১১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ