ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে স্বাক্ষরিত চুক্তি জনসমুক্ষে প্রকাশের দাবি

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ


আপডেট : বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১.১১ পূর্বাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 1885512 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 1885512 জন
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে স্বাক্ষরিত চুক্তি জনসমুক্ষে প্রকাশের দাবি
ছবি : সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে স্বাক্ষরিত সকল এমওইউ (চুক্তি) জনসমুক্ষে প্রকাশ, অবিলম্বে ভারতকে রেল করিডোর প্রদানের সিদ্ধান্ত বাতিল ও তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে পানিবণ্টন চুক্তি সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছে বাম জোট। 


মঙ্গলবার (২৫ জুন) সেগুনবাগিচায় বাসদ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বাম জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভা থেকে এসব দাবি জানান জোটের নেতারা। 


সভার গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময়ে ভারতের সাথে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক চুক্তির ব্যাপারে মোটাদাগে কিছু বিষয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হলেও বিশদভাবে পুরো চুক্তি কিংবা এমওইউ প্রকাশ করা হয়নি। জনগণ জানেনা কী ধরনের বোঝাপড়া, সম্মতি ও চুক্তি হয়েছে।



দেশের সংবিধান অনুসারে অন্য দেশের সাথে এই ধরনের কোনো চুক্তি বা এমওইউ করতে হলে তা দেশবাসীর কাছে প্রকাশ করা জরুরি।’ 

সভার অপর এক প্রস্তাবে বলা হয়, ‘লাগামহীন দুর্নীতির একের পর এক ঘটনা বেরিয়ে আসছে। দুর্নীতি ও অপরাধের তথ্য উদ্ঘাটনের দায়িত্ব পুলিশ বাহিনীর। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের দ্বারা জনগণ জানতে পারছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমদে ও ডিএমপির সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার বিপুল সম্পদের কাহিনী।



একইসাথে এনবিআরের সদস্য ও সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মতিউর রহমানের অঢেল সম্পদের খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের পর সোনা চোরাচালানের বিরাট কাহিনীও প্রকাশিত হয়। দেশবাসী মনে করে এরকম লোক মাত্র এক দুজন নয়, শত শত আছেন। সেজন্য ভীত হয়ে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এক নজিরবিহীন বিবৃতি দেয়।



যা দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে সমর্থন ও প্রশ্রয় দেওয়ার সামিল।’ 

এতে আরো বলা হয়, ‘বিবৃতির মধ্য দিয়ে তারা গণমাধ্যমগুলোকে কার্যত হুমকি প্রদান করে। তারা ইতিপূর্বে প্রকাশিত রিপোর্টগুলোকে ভিত্তিহীন ও অতিরঞ্জিত বলে অভিহিত করে এবং পরবর্তীতে পুলিশ সদস্যদের ব্যাপারে রিপোর্ট করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলে। বিবৃতি থেকে বোঝা যায়, পুলিশের মধ্যে অনৈতিক উপায়ে সম্পদ অর্জনকারী লোক এক দুইজন নয়, আরো অনেকে আছেন। দুর্নীতির এই সংবাদগুলো আটকানোর জন্য তারা এই বিবৃতি দিয়েছেন।



এই বিবৃতিকে পুলিশ প্রশাসনের অগণতান্ত্রিক আচরণ ও নিরাপত্তা বাহিনী দ্বারা মিডিয়াকর্মীদের হুমকি প্রদান হিসেবে মনে করছে বামজোট। সভায় পুলিশ এসোসিয়েশনের এই অনভিপ্রেত বিবৃতি প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।’

সভার প্রস্তাবে আরো বলা হয়, ‘একের পর এক দুর্নীতির খবর প্রকাশ হওয়ার পরই দুদক মামলা করছে। অর্থাৎ দুদক যেন বাধ্য হয়ে মামলা করছে। অথচ দুর্নীতির এই ঘটনাগুলো খুঁজে বের করা ছিল দুদকেরই কাজ। সভা থেকে অবিলম্বে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে সকল দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বামজোট দাবি জানাচ্ছে।’



বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা ডা. জয়দ্বীপ ভট্টচার্য, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহীদুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির আব্দুল আলী, বাসদের নিখিল দাস, কমিউিনিস্ট লীগের শামীম ইমাম, সমাজতান্ত্রিক পার্টির নেতা রুবেল শিকদার প্রমূখ।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ



আপডেট : বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১.১১ পূর্বাহ্ন