ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

গণভবনে কে যাবে জনগণ নির্ধারণ করবে, ভারত নয় : হাসনাত

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
ঢাকা
শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫, ১২.৪২ পূর্বাহ্ন

আপডেট : শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫, ১২.৪২ পূর্বাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 1017947 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 1017947 জন
গণভবনে কে যাবে জনগণ নির্ধারণ করবে, ভারত নয় : হাসনাত
নতুন দলের মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।

গণভবন ও সংসদ ভবনে কে যাবে, তা নির্ধারণ করবে দেশের খেটে খাওয়া জনগণ বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ও নতুন দলের মুখ্য দায়িত্ব নিতে যাওয়া হাসনাত আব্দুল্লাহ।


তিনি বলেন, গণভবনে কে যাবে সেটি নির্ধারিত হবে বাংলাদেশ থেকে, ভারত থেকে সেটি নির্ধারিত হবে না। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই সংসদে কে যাবে, সেটি নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের খেটে খাওয়া জনতা। এই সংসদে কে বসবে, সেটি নির্ধারণ করবে এই ভূখণ্ডের মানুষ।


শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের সড়কে তৈরি মঞ্চ থেকে নতুন দলের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। বিকাল সোয়া ৪টার দিকে অনুষ্ঠান শুরু হয়। একে একে দলের দায়িত্বশীল নেতারা বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন।


বক্তব্যদানকালে হাসনাত আরও বলেন, আমরা দীর্ঘ দেড় দশকের আওয়ামী জাহেলিয়াতকে দূর করে আজকে আমরা মুক্ত বাংলাদেশে। যেই সংসদকে আমরা ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছি, সেই সংসদ ভবনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যাওয়ার জন্য আজ আমরা মানিক মিয়া এভিনিউয়ে এসে দাঁড়িয়েছি।


তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন দীর্ঘ দেড় দশক আমাদের দেশে ছিল বিচারহীনতার সংস্কৃতি। কীভাবে দেশে দিনের ভোট রাতে করা সংস্কৃতি চালু করা হয়েছে, ডামি নির্বাচন চালু করা হয়েছে। ২০০৯ সালে যারা ডিফেন্স অব ফার্স্টলাইন, বিডিআর সৈন্যদের ভারতীয় আগ্রাসনের মাধ্যমে হত্যা হত্যা করা হয়েছে। এই স্পষ্ট হত্যাকাণ্ডকে বিডিআর বিদ্রোহ বলে চালানো হয়েছে। শাপলা চত্বরে দাড়ি-টুপিওয়ালা ভাইদের রাতের আঁধারে জেনোসাইড চালানো হয়েছে, তাদের মাইক কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা ৬ আগস্ট আওয়ামী লীগের এসব দুঃশাসনের কবর রচনা করেছি।


হাসনাত বলেন, দীর্ঘ দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে একটা জাতি গড়ে তুলতে পারিনি, বিভাজনের রাজনীতি আমাদের মধ্যে, আমাদের সব প্রতিষ্ঠান ভেঙে গেছে, সুশান নিশ্চিত করতে পারিনি, ফাংশনাল ব্যুরোক্রেসি নিশ্চিত করতে পারিনি, স্বাধীন পুলিশ গঠন করতে পারিনি, স্বাধীন বিচার বিভাগ নিশ্চি করতে পারিনি। আমরা তরুণ প্রজন্ম সবকিছুকে ফাংশনাল করব।


এ সময় মঞ্চে নাহিদ ইসলাম, আখতার হোসেন, সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ, সামান্তা শারমিন, মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীসহ জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র-নেতাদের দেখা গেছে।


এদিকে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান উপলক্ষে সমাবেশস্থলে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত হয়েছেন। এ ছাড়া ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ছাত্র-জনতায় কানায় কানায় পূর্ণ রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
বাংলাদেশ | রাজনীতি
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
ঢাকা
শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫, ১২.৪২ পূর্বাহ্ন
আপডেট : শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫, ১২.৪২ পূর্বাহ্ন