বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মন্তব্য করেছেন যে, "হাজার কোটি টাকা পাচারকারী হাসিনার এজেন্টরা প্রশাসনে এখনও সক্রিয়। তারা ইউনূস সরকারের সফলতা নিশ্চিত করবে না।" তিনি এই মন্তব্যটি রোববার (৬ অক্টোবর) মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার খাকটেখা কালনীগড় বাজারে বিএসএফের গুলিতে নিহত স্বর্ণা দাসের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে একটি পথসভায় করেছেন।
রিজভী বলেন, "বর্তমান পররাষ্ট্র সচিব যিনি কাতারের রাষ্ট্রদূত ছিলেন, তিনি বিএনপি নেতাদের পাসপোর্ট রিনিউ করতে দিতেন না। এই বিতর্কিত ব্যক্তির কারণে অনেক বাংলাদেশি দেশে ফিরতে পারেননি। তিনি হাসিনার স্বৈরাচারী সরকারের এজেন্ট।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন, "স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর সীমান্তে হত্যার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিএসএফ সীমান্তে নিরীহ মানুষের ওপর আক্রমণ করছে। ৫ আগস্ট জনগণের বিপ্লবের ধারাবাহিকতায় ইউনূস সরকার গঠিত হয়েছে, কিন্তু গণতন্ত্রের রক্ষায় দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার প্রয়োজন।"
রিজভী বিএসএফের হাতে নিহত স্বর্ণা দাসের ঘটনায় সরকারের উদাসীনতার সমালোচনা করে বলেন, "একটি নিষ্পাপ কিশোরীকে হত্যার মতো ধৃষ্টতা যে দেশ দেখাতে পারে, তার বিরুদ্ধে কেন কড়া প্রতিবাদ করা হলো না?"
তিনি দাবি করেন, "শেখ হাসিনার নির্দেশে বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় বছরের পর বছর বন্দী রাখা হয়েছে, কিন্তু তিনি মাথা নত করেননি।"
রিজভী আরও বলেন, "৭৫-এর পরে বাকশালের কালো অধ্যায় থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। গত ১৫ বছরে গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পাশাপাশি তারেক রহমানের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।"