জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে দ্বন্দ্বমূলক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, তা প্রশমনে সক্রিয় ভূমিকা নিতে চলেছে মার্কিন প্রশাসন। বিদেশসচিব মার্কো রুবিও সরাসরি ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার-এর সঙ্গে ফোনে আলোচনা করার তৎপররা চালিয়ে যাচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস।
পাক-ভারত উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা পহেলগাঁও হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৬ জন। ভারত হামলার দায় সরাসরি পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে একাধিক কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে—সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত থেকে শুরু করে পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল পর্যন্ত। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করে আকাশসীমাও বন্ধ করেছে।
এই টানাপড়েনের মধ্যেই আমেরিকা দুই দেশকে "দায়িত্বশীল সমাধান" খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রুবিওর হস্তক্ষেপকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে আন্তর্জাতিক মহল। শুধু তাই নয়, অন্যান্য রাষ্ট্রনেতাদেরও ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় উৎসাহ দিচ্ছেন তিনি।
এদিকে, চিনও পরিস্থিতিতে জড়িয়েছে। তাদের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছে এবং ‘নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্ত’-এর পক্ষে মত দিয়েছে।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স হামলার সময় ভারতে অবস্থান করছিলেন এবং তিনি সন্ত্রাসের কড়া নিন্দা করলেও, পাকিস্তানকে সরাসরি অভিযুক্ত করেননি। বরং দুই পক্ষকেই শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
এই সঙ্কটময় মুহূর্তে রুবিওর হস্তক্ষেপ কি উত্তেজনা প্রশমনে কাজে আসবে? না কি আরও একধাপ এগিয়ে যাবে দক্ষিণ এশিয়ার এই জটিল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক?